আবু হাজার আল কুরদী
সেসময় মুজাহিদীনদের ক্ষমতা চরমে পৌঁছেছিল। কারণ, সেখানে কোনো দলাদলি ছিল না, আইএসআইএস নামক কোনো মহামারিও ছিল না। মুজাহিদীনদের স্লোগানে ময়দান প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল এবং তাঁদের অগ্রগতি সিরিয়ার বাশারের প্রাসাদ আর নুরী আল মালিকীর শাসনকে কাঁপিয়ে তুলেছিল।
ধীরে ধীরে সিরিয়া ও ইরাকের প্রতিটি কোণায় ইসলামের পতাকা উত্তোলন করা হয় ফলে ইউরোপ-আমেরিকা এবং অন্যান্য অনেক দেশের তরুণ-তরুণীরা সিরিয়া ও ইরাকের মুজাহিদীনদের দলে যোগ দিতে আগ্রহী হয়। *কিন্তু কাফেরবিশ্বের সঙ্ঘবদ্ধ বুদ্ধিজীবীরা যুবকদের এ উদ্দীপনাকে নিজেদের জন্য হুমকি মনে করে তাদের নির্মূল করার সমাধান খুঁজে বের করে।
শুরুতে ইরাকে তাদের ভাড়াটে সৈন্যদের বিনা প্রতিবাদে প্রধান শহর এবং প্রদেশগুলি খালি করার নির্দেশ দিয়ে পাঠানো হয়। যার কারণে মসুল শহর, প্রাদেশিক কেন্দ্র এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বিনা প্রতিবাদে আইএসআইএসের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে সৈন্যরা চলে যায়, ফলে অনেক যুবক এই বিশ্বাসঘাতক সম্প্রদায়ে যোগদানের তাগিদ অনুভব করে।
ইউরোপসহ অন্যান্য দেশ থেকে আগন্তুক মুসলিম যুবকদের সাথে নিয়ে দাঈশ বাহিনী সিরিয়ান মুজাহিদীনদের ছুরিকাঘাত করে তাদের অঞ্চল বিস্তৃত করে, রাক্কা, উত্তর আলেপ্পো, ত্রিপোলি, মানবিজ এবং আরও অনেক অঞ্চল দখল করে নেয়।
আইএসআইএস কীভাবে আধিপত্য বিস্তার করেছিল?
আইএসআইএস নিজের অঞ্চল সম্প্রসারণের জন্য যে সমস্ত জায়গায় আক্রমণ করেছিল সেগুলো নাসিরি বাশারের শাসনের অধীনে থাকা শহরগুলো ছিল না। তবে সেই শহরগুলোই সহজে ইবনে মুলজামের অনুসারী আইএসের সন্ত্রাসীদের হাতে পড়েছিল যেগুলো সিরিয়ার মুজাহিদীনগণ জয় করেছিলেন হাজার হাজার শহীদের রক্ত ও মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে।
সেটা ওই সময় ছিল যখন মুজাহিদীনগণ নাসিরি শাসনের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল, কিন্তু দাঈশ মুজাহিদদের বিরুদ্ধে একটি নতুন দলকে মাঠে নামিয়েছিল।
চলবে…