আবু হাজার আল কুরদী
তখন দাঈশের বিশ্বাসঘাতকতা বাশার আল আসাদ সরকার ও কুর্দিদের উপকারে এসেছিল এবং মুজাহিদীনগণকে করেছিল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। কারণ আইএসআইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কারণে মুজাহিদীনগণ যখন তাদের এলাকা থেকে পিছু হটেছিল, তখন নব্য ক্রুসেডাররা সেই অঞ্চলে আইএসআইএসের উপস্থিতির অজুহাতে বাশার আল আসাদ এবং কুর্দিদের বাহিনীর সমর্থনে স্থল ও বিমান হামলা চালায়।
প্রকৃতপক্ষে প্রথম সারির যোদ্ধা গোষ্ঠী হিসাবে আইএসআইএস সেই অঞ্চলে মুজাহিদীনগণের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল, কারণ তাদের যুদ্ধই ছিল কেবল শুধুমাত্র মুজাহিদীনগণের বিরুদ্ধে; বাশার আল আসাদ আর কুর্দি বাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের বিন্দুমাত্র প্রতিক্রিয়াও ছিল না। *আহলে ইসলামের বিরুদ্ধে তাদের তরবারি সবসময় খাপ থেকে বেরিয়ে আসে যার ফলস্বরূপ সর্বদা উপকৃত হয় আহলে কুফর।
আমরা যদি আইএসআইএসের পুরো আমলনামার দিকে দৃষ্টিপাত করি, তাহলে দেখা যাবে তারা যাদের শিরশ্ছেদ করেছে বা অন্যভাবে হত্যা করেছে—তাদের অধিকাংশই ছিলেন মুজাহিদীন। আমি (আবু হাজার আল কুরদী) নিজেই এই বিপথগামী দলের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে শামিল ছিলাম। আমি বহুবার দেখেছি যে দাঈশের চিন্তাধারা লালনকারী অনুসারীদের লক্ষ্য ও আবেগ ছিল আহলে সুন্নাহর যুবক ও মুজাহিদীনদের নির্মূল করার দিকে।
দাঈশ নিজেদের আমীরের কাছে লোকদের বাইয়াত করার অজুহাতে কোথাও যাওয়ার পর সেখানের লোকজন যখন তাদের অজ্ঞতা ও গোমরাহীর কারণে তাদের থেকে বারাআত ঘোষণা করতেন, তখন তারা দাঈশের তরফ থেকে ইসলামের বৃত্তের বাইরের ‘মুরতাদ’ খেতাব অর্জন করতেন।
পর্যবেক্ষণ অনুসারে যখনই মুজাহিদীনগণ নিহত আইএস সদস্যের ফোনের মাধ্যমে তাদের অন্যান্য কমরেডদের সাথে যোগাযোগ করতেন, মুঠোফোনের বিপরীতে মুজাহিদীনগণের পরিচয় জানার সাথেসাথেই তারা ফাতওয়া জারি, ভিত্তিহীন অভিযোগ ও মুজাহিদীনগণকে মুরতাদ বলে সম্বোধন করা শুরু করত।
চলবে….