মাহির বিলাল
জাতিসংঘ সেই শয়তানী ও দাজ্জালী সংগঠন যার সাথে বিশ্বের প্রতিটি নাগরিক পরিচিত। এই সংস্থাটি আপাতদৃষ্টিতে মানবতার সেবা করার দাবি করলেও, প্রকৃতপক্ষে এটি ইলুমিনাতি এবং জায়নবাদীদের হাতিয়ার।
জাতিসংঘ নামক সংস্থাটি বিশ্বের মুসলিম এবং অমুসলিম দেশে যুদ্ধ ও অস্থিরতার জন্য দায়ী। কারণ এই সংগঠনটি তার দাজ্জালি রাজনীতির মূলনীতি অনুযায়ী বিশ্বের প্রতিটি কোণায় সৈন্য পাঠায়, যারা সেখানে গণহত্যা চালিয়ে তাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত করে।
স্পষ্টতই এই প্রতিষ্ঠানটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল, ফলে তার উচিত ছিল সকল জাতির অধিকারকে সম্মান ও রক্ষা করা। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র; যার অধীনে এখন সমস্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা, আমেরিকা এটির আসল উদ্দেশ্য বিনষ্ট করে এটিকে তার নিজস্ব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে শুরু করেছে।
আসলে আশ্চর্যের বিষয় হলো এই প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত সকল কাফের ও কথিত মুসলিম দেশ বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ইসলামি ইমারাত সরকারের উপর আক্রমণ করে এবং বিশ বছর যুদ্ধ চালিয়ে যায়। ইসলামি ইমারাতকে সন্ত্রাসী সরকার হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত করিয়েছে এবং আজও পর্যন্ত তারা ইসলামি ইমারাতের পেছনে পড়ে আছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি ইহুদি জায়নবাদী শাসকদের ব্যাপারে তারা নীরবতা পালন করছে।
যারা ১৪ হাজার নারীকে শহীদ করেছে, হাজার হাজার শিশু ও বৃদ্ধকে হত্যা করেছে, হাজার হাজার বাড়িঘরে বোমা মেরেছে, লাখ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। এমন নৃশংসতা করেছে যে, তাদের কথা শুনলেই মানুষের শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে যায়। কখনো প্রকাশ্যে আবার কখনো গোপনে তারা নির্যাতিতদের জবাই করেছে, পুড়িয়ে দিয়েছে, এমনকি তাদের মাংসও খেয়েছে। কিন্তু দাজ্জালের প্রতিনিধিদের কানে এগুলো পৌঁছেনি। তারা বিশ্বশক্তিগুলোকে পাঠায়নি এই নৃশংসতা বন্ধ করতে এবং যালিমদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। তারা নিপীড়িতদের রক্ষা ও সাহায্য করার জন্যও কোনো ভূমিকা রাখেনি।
কিন্তু বিশ বছর আগে ইসলামি ইমারাতের বিরুদ্ধে পশ্চিমা আগ্রাসনকে উৎসাহিত করে এই সংগঠনে আফগানিস্তানে হামলা করিয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েলি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তাদের এই নীরবতা?
কিন্তু কেন?
উত্তর সহজ। কুফরের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত সকল রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজ, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান কাফেরদের স্বার্থে কাজ করে। তারা মুসলিম উম্মাহকে হেয় করে এবং ইসলামের বিরুদ্ধে তাদের সকল স্বার্থ নিশ্চিত করে। তাই এই দাজ্জাল প্রতিনিধিদের বিশ্বাস না করে আমাদের ইসলামি ঐক্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা জরুরী ও প্রয়োজনীয়।
উল্লেখ্য, রিচার্ডের মতো কাফেরদের কালো তালিকাভুক্ত করে আফগানিস্তানের ইসলামি ইমারাত আবারো নিজের বিশুদ্ধ সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। কাফের সংগঠনগুলোর সব ধরনের কামনা-বাসনা আবারও তাদের মুখে ছুড়ে মেরেছে। এখন তাদের ভাড়াটে গুণ্ডারা আবারও সক্রিয় হয়ে তাদের প্রভুদের অসম্মানের প্রতিশোধ নিতে চাইবে। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ! অতীতের মতো ইসলামের এই শত্রুরা ব্যর্থ হবে। আল্লাহ তাআলা তাদের ইসলামি ইমারাতের বাহিনীর হাতে পরাজিত করবেন।