যখন সারাবিশ্ব গভীর ঘুমে মগ্ন ছিল, কেউ ভাবতেও পারেনি একদল মুসলিম যুবক কয়েকশ কিলোমিটার দীর্ঘ ও গভীর সুড়ঙ্গের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসবে এমনভাবে— অন্ধকার রাত পোহালে যেমন সূর্যের রশ্মি উঁকি দেয়। তাঁরা উম্মতকে প্রায় একশত বছরের অন্ধকারের ছায়া থেকে বের করে আলোর দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।
হ্যাঁ! এমন এক সময়ে যখন আধুনিক বিশ্ব প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নিজেকে খোদা বলে দাবি করে। তাদের গোয়েন্দাসংস্হা ও গুপ্তচরবৃত্তি সক্রিয় থাকা সত্ত্বেও বিশ্বের সবচেয়ে বড় ছাদবিহীন কারাগার গাযযার কয়েকজন যুবক পোক্ত ঈমান, দৃঢ়সংকল্প, ইয়াকিন ও তাওয়াককুলের অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শত্রুর ওপর আক্রমণ করে।
তাঁরাই ছিলেন সেই সকল যুবক, যারা আবাবিলের মতো শত্রুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে অল্প সময়ের মধ্যেই দখলদার শত্রুর বিশাল প্রাসাদ তছনছ করে দেন।
তারা বহু শহর ও দখলকৃত অঞ্চলকে পুনরায় ইসলামী ভূমিতে অন্তর্ভুক্ত করতে এবং হাজার হাজার ইয়াহুদি অপরাধীকে তাদের কৃতকর্মের শাস্তি দিতে সফল হন এবং উম্মাহর ব্যথিত হৃদয়কে আবারও আনন্দে পূর্ণ করেন।
৭ই অক্টোবর ২০২৩ ছিল কাফের শক্তির বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের ঐতিহাসিক বিজয়ের দিন।
৭ই অক্টোবর মুক্তিকামীদের জন্য এই মহান বার্তা বহন করে যে, স্বাধীনতার প্রত্যাশীরা যখন বন্দীদশা থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা অর্জনের দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করে, তখন তাদের সামনে না কংক্রিটের দেয়ালও দাঁড়াতে পারে, আর না কাফেরদের বর্বর শক্তিও তাকে প্রতিহত করতে পারে।
৭ই অক্টোবর সেই দিন, যেদিন একদিন তরুণদের জীবনের শিরোনাম ও গন্তব্য হয়ে উঠবে এবং আগামী প্রজন্মের জন্য গর্ব ও সম্মানের প্রতীক হয়ে উঠবে। গাযযার নাগরিকদের এক বছর ধরে আমরা যে সাহস, ধৈর্য, আস্থা ও অধ্যবসায় দেখেছি, তা দেখে এটা বলা বাহুল্য হবে না যে গাযযা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলেও প্রকৃত বিজয় গাযযার জনগণ এবং মুসলিমদের।