রবিবার, ৬ই জুমাদিউস সানি, হায়’আত তাহরির আশ শাম (HTS)-এর নেতৃত্বে সিরিয়ার জিহাদী গোষ্ঠীগুলো একাধিক সফল অভিযানের পর বাশার আল আসাদের শাসন উৎখাত এবং দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
সিরিয়ার জিহাদী গোষ্ঠীগুলোর এই বিজয় মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ব্যাপক আনন্দ ও উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করেছে। আফগানিস্তানের কাবুল, খোস্তসহ বিভিন্ন শহরে এই বিজয় উদযাপনে মানুষ রাস্তায় নেমে আসে এবং পথঘাট তাকবির ধ্বনিতে মুখরিত হয়।
যদিও সিরিয়া বিপ্লবের এই বিজয় বিশ্বজুড়ে অধিকাংশ মুসলিমদের জন্য আনন্দের সংবাদ, তথাকথিত মুসলিমরূপী আইএস খারিজিরা বাশারের সমর্থকদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রথম দিন থেকেই সিরিয়ার জিহাদী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
তাদের পুরনো অভ্যাস অনুযায়ী তারা সিরিয়ার জিহাদী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছে, কখনও তাদের পূর্বের দাস বলে অভিহিত করেছে, আবার কখনও পশ্চিমাদের দাস বলে অভিহিত করেছে। পাশাপাশি তারা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সিরিয়ায় পুনরায় অস্থিরতা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে।
সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে, গত তিন দিনে আইএস খারিজিরা সিরিয়ার কুর্দি-অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে মরুভূমিতে লুকিয়ে থাকা ঘাঁটি থেকে প্রায় দশটি হামলা চালিয়েছে।
সিরিয়ার জিহাদী গোষ্ঠীগুলোর এখনও বিপ্লবের পূর্ণ সুফল উপভোগ করতে হলে অনেক পরিশ্রম এবং প্রচেষ্টা দরকার। তবে আইএসের মতো গোষ্ঠীগুলো, যারা মুসলিমদের শত্রু, তাদের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা অব্যাহত রেখে মুসলিমদের শান্তিপূর্ণ জীবন ও ইসলামী শাসনব্যবস্থার স্বপ্নকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করবে বলে মনে হচ্ছে।