বাঘলানের রক্তাক্ত অধ্যায়: খাওয়ারিজদের বিশ্বাসঘাতকতার নির্মম চিত্র!

আবু উসামা খোরাসানী

#image_title

আইএসআইএস— যারা নিজেদেরকে মুসলিম এবং সত্যপথের মুজাহিদ বলে দাবি করে কিন্তু তাদের অন্ধকারাচ্ছন্ন ইতিহাস নিরীহ নিরপরাধ মানুষের রক্তে রঞ্জিত। তাদের কার্যকলাপ অত্যন্ত নির্মম এবং উদ্দেশ্য ইসলামবিরোধী। খাওয়ারিজ গোষ্ঠীটি কার্যত জায়োনিস্ট শাসনের মতোই একটি কুখ্যাত পরিচিতি বহন করে। যেমন জায়োনিস্টরা নিরীহ মানুষের রক্ত ঝরিয়েছে, তেমনি এই গোষ্ঠীও একই নির্মম পথে হাঁটছে। তারা হাজারো মুসলিমের জীবন কেড়ে নিয়েছে যা পুরোপুরি অযৌক্তিক অভিযোগ ও ভিত্তিহীন ফাতাওয়ার ফল।

খাওয়ারিজদের কুরুচিপূর্ণ ইতিহাস সাহাবায়ে কেরামের যুগ থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত নির্মমতার সাক্ষী। তাদের তথাকথিত “আলেম” ও নেতৃত্বের মাধ্যমে জারি করা ফাতাওয়াগুলো ন্যায়বিচারের মুখোমুখি করার পরিবর্তে অন্যায় হত্যাকাণ্ডের প্ররোচনা দিয়েছে।

তারা আমেরিকার দখলদারিত্ব ও তাদের পুতুল প্রশাসনের ছত্রছায়ায় ব্যাপক তাকফিরি কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এ গোষ্ঠী বিভিন্ন ভিত্তিহীন অজুহাতে মুসলিমদের কাফির আখ্যা দিয়ে তাদের রক্তকে হালাল ঘোষণা করেছে। তারা এমন এক নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করেছে, যা ইসলামি মূল্যবোধ ও মানবিকতার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

মসজিদে ইবাদতে মগ্ন মানুষকে হত্যা করা থেকে শুরু করে শিশু ও বৃদ্ধদের ওপরও তারা দয়া দেখায়নি। তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে যারা আল্লাহর ঘরে ইবাদতে রত, যাদের তারা কখনো শিরক করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে, কখনো শিয়া বলে অপবাদ দিয়েছে।

তাদের এই নির্মম কার্যকলাপ শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে নয়, গোটা ইসলামি সমাজের ওপরও গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে। তারা ইসলামের শত্রুদের মনোরঞ্জনের জন্য এ জাতীয় নৃশংস কাজ চালিয়ে গেছে।

সম্প্রতি বাঘলান প্রদেশের নাহরিন জেলার একটি মসজিদে আল্লাহর স্মরণে নিমগ্ন মুসল্লিদের ওপর হামলা চালিয়ে তারা আবারও তাদের প্রকৃত সন্ত্রাসী চেহারা উন্মোচন করেছে। তাদের এই জঘন্য আক্রমণ প্রমাণ করে, তাদের কার্যক্রম ইসলামের শিক্ষা এবং পবিত্র নীতির সাথে পুরোপুরি অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

ইসলামি ইমারাত প্রতিষ্ঠার পর এই ধ্বংসাত্মক গোষ্ঠীর কার্যক্রম কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ইসলামি ইমারাতের সাহসী বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে জাতিকে তাদের নৃশংসতা থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করে।

যদিও তারা এখন আর ইসলামি ইমারাতের সাহসী বাহিনীর সাথে সরাসরি লড়াইয়ে সক্ষম নয়, তবু তারা বিচ্ছিন্নভাবে এই ধরনের হামলা চালিয়ে ইসলামের শত্রুদের খুশি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

তাদের ইতিহাস ও বর্তমান কার্যকলাপ একথাই প্রমাণ করে, আল্লাহর ইচ্ছায় তারা অচিরেই তাদের কৃতকর্মের কঠোর পরিণতি ভোগ করবে। অতীতে যেমন তাদের পূর্বসূরিদের ধ্বংস করা হয়েছে, তেমনি ভবিষ্যতেও তাদের ধ্বংস অনিবার্য।

“তাদের পতন অবশ্যম্ভাবী, যেমনটি ছিল তাদের পূর্বসূরিদের!”

Abu Jundab Abdullah
Exit mobile version