বৃহস্পতিবার, জুলাই 31, 2025
আল মিরসাদ
  • বাড়ি
  • বিবৃতি
  • সংবাদ
  • বিশ্লেষণ এবং লেখা
  • ইসলামিক স্কলার
  • উম্মাহর বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের
  • লাইব্রেরি
  • প্রকাশনা
  • ইনফোগ্রাফিক
  • সাবধান
    • عربي
    • EN
    • اردو
    • دري
    • پښتو
No Result
View All Result
  • বাড়ি
  • বিবৃতি
  • সংবাদ
  • বিশ্লেষণ এবং লেখা
  • ইসলামিক স্কলার
  • উম্মাহর বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের
  • লাইব্রেরি
  • প্রকাশনা
  • ইনফোগ্রাফিক
  • সাবধান
    • عربي
    • EN
    • اردو
    • دري
    • پښتو
No Result
View All Result
আল মিরসাদ
No Result
View All Result
Home ব্লগ

ইসলামি ইমারাতের বিরুদ্ধে দাঈশি খারিজিদের প্রোপাগাণ্ডা ও আপত্তিসমূহের শরঈ বিশ্লেষণ | প্রথম পর্ব

✍🏻 মৌলভী আহমাদ আলী

ইসলামি ইমারাতের বিরুদ্ধে দাঈশি খারিজিদের প্রোপাগাণ্ডা ও আপত্তিসমূহের শরঈ বিশ্লেষণ | প্রথম পর্ব
0
SHARES
0
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

খারিজি—যারা সর্বকালে সর্বত্র মুসলিমদের অপূরণীয় ক্ষতি করেছে; যখনই তারা আবির্ভূত হয়েছে, উম্মাহর শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিরা তাদের হাতে শহীদ হয়েছেন। যেমন হাদীসে আছে: “يقتلون خير المسلمين”
“তারা মুসলিমদের মধ্যে শ্রেষ্ঠদের হত্যা করবে।”

আল্লামা ইবনু হাজার রহিমাহুল্লাহ বলেন:
أَمَّا الْخَوَارِجُ فَهُمْ جَمْعُ خَارِجَةٍ أَيْ طَائِفَةٍ وَهُمْ قَوْمٌ مُبْتَدِعُونَ سُمُّوا بِذَلِكَ لِخُرُوجِهِمْ عَنِ الدِّينِ وَخُرُوجِهِمْ عَلَى خِيَارِ الْمُسْلِمِينَ.
অনুবাদ: ‘খাওয়ারিজ’৷ হলো ‘খারিজা’-এর বহুবচন, অর্থাৎ একটি দল। তারা হলো একদল বিদআতী। তাদেরকে খাওয়ারিজ বলা হয় কারণ তারা দীন থেকে বেরিয়ে যায় এবং মুসলিমদের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে।

দ্রষ্টব্য: কিছু লোক ‘তাওয়াগীত’-এর (সীমালঙ্ঘনকারী শাসক) বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম ও জিহাদরত মুজাহিদদের ‘খারিজি’ বলে আখ্যায়িত করে। কিন্তু ইবনু হাজার রহিমাহুল্লাহর এই সংজ্ঞা মুজাহিদদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কারণ মুজাহিদরা নেককার মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে না বা যুদ্ধ করে না। বরং তারা কাফিরদের দাস, রক্ষক এবং কুফরি আইনের বিরুদ্ধে জিহাদ করে। আরেকটি বিষয় হলো, মুজাহিদরা দীন থেকে বেরিয়ে যায়নি; তারা তো বরং দীন প্রতিষ্ঠা করতে চান। দীন থেকে তো খারিজিরাই বেরিয়ে গেছে, যা একটি সুস্পষ্ট ব্যাপার।

“الخوارج عقیدة و تاریخ وحاضر”নামক গ্রন্থের ২নং পৃষ্ঠায় লেখক খারিজিদের প্রসঙ্গে লিখেছেন:
فقط ظهرت بوادرها في زمن رسول الله صلى الله عليه وسلم، عندما طعن عبدالله ذو الخويصرة التميمي بقسمة رسول الله صلى الله عليه وسلم وقال فيها -ولبئس ما قال-: هذه قِسمة ما أُريد بها وجه الله.
অনুবাদ: তাদের (খারিজিদের) সূত্রপাত তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগেই হয়েছিল, যখন আবদুল্লাহ যুল-খুওয়াইসিরাহ আত-তামিমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বণ্টনে আপত্তি জানিয়ে বলেছিল “এই বণ্টন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা হয়নি।”
وقال أيضاً، إعدل يا رسول الله، فقال الصادق الأمين: (ويلك، إن لم أعدل فمن يعدل؟)
ثمّ قال فيه: يخرج من ضئضئ هذا قوم تحقرون صلاتكم إلى صلاتهم وصيامكم إلى صيامهم يمرقون من الدين كما يمرق السهم من الرمية. أنظر كامل القصّة في البخاري ومسلم.
এবং সে আরও বলেছিল: “হে আল্লাহর রাসূল! আপনি ইনসাফ করুন।” তখন আস-সাদিকুল আমিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জবাব দিলেন: “তোমার জন্য দুর্ভোগ! আমি যদি ইনসাফ না করি, তবে কে করবে?”
এরপর তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সম্পর্কে বললেন: “يخرج من ضئضئ هذا قوم تحقرون صلاتكم إلى صلاتهم وصيامكم إلى صيامهم يمرقون من الدين كما يمرق السهم من الرمية.”
“তার বংশ থেকে এমন একদল লোক বের হবে যে, তোমরা তাদের নামাযের তুলনায় তোমাদের নামাযকে এবং তাদের রোযার তুলনায় তোমাদের রোযাকে তুচ্ছ মনে করবে। তারা দীন থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে যেমন তীর শিকারের শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।” (সম্পূর্ণ ঘটনা দেখুন বুখারী ও মুসলিম শরীফে)।
أمّا من حيث كونها فرقة لها تجمّع وعقائد وشوكة، فقد ظهر هذا بعد التحكيم الذي حدث بطلب منهم (وكانوا في جيش عليّ رضي الله عنه وأرضاه وطالبوه بالتحكيم) بين عليّ ومعاويةرضوان الله عليهم جميعاً، ثمّ قاتلهم عليّ رضي الله عنه حتّى كان قتله رحمه الله ورضي عنه على أيديهم الخبيثة.
এটি তো ছিল একজন ব্যক্তির কথা। কিন্তু একটি সংগঠিত দল—নিজস্ব আকীদা, শক্তি ও ক্ষমতা নিয়ে তাদের আবির্ভূত হয়েছিল হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর যুগে, তাহকিম (সালিশি) ঘটনার পর, যা তাদেরই অনুরোধে হয়েছিল (তারা হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর বাহিনীতে ছিল এবং তাঁকে হযরত মুআবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহুর সাথে সালিশির জন্য জোর করেছিল)। এরপর হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু তাদের সাথে যুদ্ধ করেছিলেন, এমনকি তিনি রহিমাহুল্লাহু ওয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু তাদেরই নোংরা হাত দ্বারা শহীদ হয়েছিলেন।

সুতরাং ‘খারিজি’ শব্দটি বা নামটি কোনো নতুন নাম নয়, বরং এটি একটি পুরোনো নাম। সর্বপ্রথম এই শব্দগুলি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উচ্চারণ করেছিলেন এবং বলেছিলেন: “الخوارج كلاب النار”
“খারেজিরা জাহান্নামের কুকুর।” এই কথাটি তিনি তিনবার বলেছিলেন।
তেমনিভাবে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন: “هم شرار الخلق عند الله”
“আল্লাহর কাছে খারিজিরা সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর ও মন্দ লোক।”
অন্য বর্ণনায় এসেছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “أولئك لهم النار”
“ঐসব খারেজিদের জন্য জাহান্নাম।”

আল্লামা শাওকানী রহিমাহুল্লাহ ‘নাইলুল আওতার’-এর সপ্তম খণ্ডের ১৮৭ পৃষ্ঠায় লিখেছেন:
بَابُ قِتَالِ الْخَوَارِجِ) هُمْ جَمْعُ خَارِجَةٍ: أَيْ طَائِفَةٍ، سُمُّوا بِذَلِكَ لِخُرُوجِهِمْ عَنْ الدِّينِ وَابْتِدَاعِهِمْ أَوْ خُرُوجِهِمْ عَنْ خِيَارِ الْمُسْلِمِينَ.
অনুবাদ: (খারিজিদের সাথে যুদ্ধের অধ্যায়) ‘খাওয়ারিজ’ হলো ‘খারিজা’-এর বহুবচন, অর্থাৎ একটি দল। তাদের এই নামকরণ করা হয়েছে কারণ তারা দীন থেকে বিচ্যুত হয়ে বিদআত অবলম্বন করেছে, অর্থাৎ আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াত, সালাফে সালেহীন (সাহাবায়ে কিরাম, তাবেঈন, তাবে-তাবেঈন এবং আইম্মায়ে মুজতাহিদিন) দীনকে যেভাবে বুঝেছেন এবং ব্যাখ্যা করেছেন, তারা সেই ব্যাখ্যা ও ব্যাখ্যার বিরোধিতা করে। এবং “خروجهم عن خيار المسلمين” অর্থাৎ “তারা নেককার মুসলিমদের সারি থেকে বেরিয়ে যাবে।”

ফাতহুল বারীতে ইবনে হাজার রহিমাহুল্লাহ বলেন:
وَكَانَ بن عُمَرَ يَرَاهُمْ شِرَارَ خَلْقِ اللَّهِ إِلَخْ.
অনুবাদ: ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাদের (খারিজিদের) সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে নিকৃষ্ট মনে করতেন; কারণ তারা কাফিরদের সাথে সম্পর্কিত আয়াতসমূহ মুসলিমদের উপর প্রয়োগ করত।
وَصَلَهُ الطَّبَرِيُّ فِي مُسْنَدِ عَلِيٍّ مِنْ تَهْذِيبِ الْآثَارِ مِنْ طَرِيقِ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْأَشَجِّ أَنَّهُ سَأَلَ نَافِعًا كَيْفَ كَانَ رَأْيُ بن عُمَرَ فِي الْحَرُورِيَّةِ قَالَ كَانَ يَرَاهُمْ شِرَارَ خَلْقِ اللَّهِ انْطَلَقُوا إِلَى آيَاتِ الْكُفَّارِ فَجَعَلُوهَا فِي الْمُؤْمِنِينَ قُلْتُ وَسَنَدُهُ صَحِيحٌ وَقَدْ ثَبَتَ فِي الْحَدِيثِ الصَّحِيحِ الْمَرْفُوعِ عِنْدَ مُسْلِمٍ مِنْ حَدِيثِ أَبِي ذَرٍّ فِي وَصْفِ الْخَوَارِجِ هُمْ شِرَارُ الْخَلْقِ وَالْخَلِيقَةِ.
খারিজিরা মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ।

ইমাম তাবারী ‘মুসনাদে আলী’ কিতাবে ‘তাহযীবুল আসার’ থেকে বুকাইর বিন আবদুল্লাহ বিন আল-আশাজ্জের সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি নাফি‘কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, হারুরিয়্যা (খারিজিদের একটি উপদল) সম্পর্কে ইবনু উমরের মতামত কেমন ছিল? তিনি বলেছিলেন: “তিনি তাদের আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে নিকৃষ্ট মনে করতেন। তারা কাফিরদের জন্য নাযিলকৃত আয়াতগুলো মুমিনদের উপর প্রয়োগ করত।” ইবনু হাজার এই সনদকে সহীহ বলেছেন।

মুসলিম শরীফে আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত সহীহ মারফূ‘ হাদীসে খারিজিদের বর্ণনায় এটি প্রমাণিত যে, “তারা সৃষ্টির এবং সৃষ্টিজগতের নিকৃষ্টতম।”
وَفِي حَدِيثِ أَبِي سَعِيدٍ عِنْدَ أَحْمَدَ هُمْ شَرُّ الْبَرِيَّةِ وَفِي رِوَايَةِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ عَنْ عَلِيٍّ عِنْدَ مُسْلِمٍ مِنْ أَبْغَضِ خَلْقِ اللَّهِ إِلَيْهِ.
আহমাদের বর্ণনায় আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফূ‘ সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত আছে। বাজ্জারের বর্ণনায় শা’বী থেকে মাসরুক এবং আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খারিজিদের কথা উল্লেখ করে বলেছেন: “তারা আমার উম্মতের নিকৃষ্টতম অংশ, আমার উম্মতের শ্রেষ্ঠরা তাদের হত্যা করবে।”

وَسَنَدُهُ حَسَنٌ وَعِنْدَ الطَّبَرَانِيِّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مَرْفُوعًا هُمْ شَرُّ الْخَلْقِ وَالْخَلِيقَةِ يَقْتُلُهُمْ خَيْرُ الْخَلْقِ وَالْخَلِيقَةِ وَفِي حَدِيثِ أَبِي سَعِيدٍ عِنْدَ أَحْمَدَ هُمْ شَرُّ الْبَرِيَّةِ وَفِي رِوَايَةِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ عَنْ عَلِيٍّ عِنْدَ مُسْلِمٍ مِنْ أَبْغَضِ خَلْقِ اللَّهِ إِلَيْهِ.
এর সনদ হাসান। তাবারানীর নিকট মারফূ‘ সূত্রে বর্ণিত আছে: “তারা সৃষ্টিকুলের নিকৃষ্টতম, এবং সৃষ্টির শ্রেষ্ঠরা তাদের হত্যা করবে।” আহমাদে বর্ণিত আবু সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাদীসে আছে: “তারা সৃষ্টিকুলের নিকৃষ্টতম।” উবাইদুল্লাহ বিন আবি রাফে’ থেকে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনায় মুসলিম শরীফে আছে: “তারা আল্লাহর নিকট তাঁর সৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে ঘৃণিত।”

وَفِي حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَبَّابٍ يَعْنِي عَنْ أَبِيهِ عِنْدَ الطَّبَرَانِيِّ شَرُّ قَتْلَى أَظَلَّتْهُمُ السَّمَاءُ وَأَقَلَّتْهُمُ الْأَرْضُ.
তাবারানীর নিকট আবদুল্লাহ ইবনে খাব্বাবের (অর্থাৎ তার পিতা থেকে) হাদীসে আছে: “তারা সেই সকল নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট যাদের উপর আকাশ ছায়া দিয়েছে এবং যাদেরকে পৃথিবী বহন করেছে।”

وَفِي حَدِيثِ أَبِي أُمَامَةَ نَحوه وَعند أَحْمد وبن أَبِي شَيْبَةَ مِنْ حَدِيثِ أَبِي بَرْزَةَ مَرْفُوعًا فِي ذِكْرِ الْخَوَارِجِ شَرُّ الْخَلْقِ وَالْخَلِيقَةِ يَقُولُهَا ثَلَاثًا وَعند بْنُ أَبِي شَيْبَةَ مِنْ طَرِيقِ عُمَيْرِ بْنِ إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ هُمْ شَرُّ الْخَلْقِ.
আবু উমামার হাদীসেও প্রায় একই রকম বর্ণনা আছে। আহমাদ এবং ইবন আবি শাইবাতে আবু বারযা থেকে মারফূ’ সূত্রে খারিজিদের উল্লেখ করে বর্ণিত আছে: “তারা সৃষ্টি ও সৃষ্টিকুলের নিকৃষ্টতম,” তিনি এই কথাটি তিনবার বলেছেন। ইবন আবি শাইবাতে উমাইর বিন ইসহাক থেকে আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুর সূত্রে আছে: “তারা সৃষ্টির নিকৃষ্টতম।”

খারিজিরা সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে নিকৃষ্ট, কারণ তারা ইরতিদাদ ও তাকফিরের অজুহাতে মুসলিমদের রক্তপাত করে, অথচ কোনো মুসলিমকে তাকফির করা এবং তাকে হত্যা করা একটি মহাপাপ।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
عن ابن عمر رضي الله عنهما قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: إذا قال الرجل لأخيه يا كافر فقد باء بها أحدهما فإن كان كما قال وإلا رجعت عليه. (متفق علیه)
অনুবাদ: ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যখন কোনো ব্যক্তি তার ভাইকে ‘হে কাফির!’ বলে, তখন এই কুফরের অপবাদ দু’জনের একজনের উপর বর্তায়; যদি সে সত্যিই কাফির হয়, তবে ঠিক আছে, অন্যথায় যে বলে তার উপর ফিরে আসে।” (মুত্তাফাকুন আলাইহি)

তেমনিভাবে মুসলিমের রক্ত সম্মানিত ও হারাম, এ বিষয়ে যথেষ্ট সতর্কতার প্রয়োজন। হাদীসে এসেছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
أول مایٌقضَی بین الناس یوم القیامة في الدماء.
অনুবাদ: কিয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে সর্বপ্রথম রক্তের ব্যাপারে বিচার করা হবে।

তেমনিভাবে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
اِنّ من ورطات الامور الّتي لَا مخرج لمن أوقع نفسه فیها سفک الدم الحرام بغیر حلّه.
অনুবাদ: মানুষের জন্য ধ্বংসকারী বিষয়সমূহের মধ্যে, যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো পথ নেই, তা হলো অন্যায়ভাবে কারো পবিত্র রক্ত প্রবাহিত করা।

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
لوأَنَّ أَنّ أهل السماء و أهل الأرض اشترکوا في دمِ مؤمنٍ لأَکَبّهم الله في النار.
অনুবাদ: যদি আসমান ও জমিনের সমস্ত অধিবাসী একজন মুমিনকে হত্যা করার জন্য একত্রিত হয়, তাহলে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই তাদের সবাইকে জাহান্নামে উপুড় করে নিক্ষেপ করবেন।
“أفمن زيّن له سوء عمله فرأه حسنا” এই আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা আবু হাফস আল-হাম্বলী (রহিমাহুল্লাহ) লিখেছেন: فقال قتادة: منهم الخوارج الذین یستحلون دماء المسلمین و أموالهم‌.
অনুবাদ: তাদের মধ্যে খারিজিরাও অন্তর্ভুক্ত, যারা মুসলিমদের জান ও মালকে নিজেদের জন্য হালাল মনে করে।

চলবে…

 

Tags: #আলমিরসাদবাংলা#ইতিহাস#খাওয়ারিজ
ShareTweet

related-post

উমার ইবন আবদুল আযীয রহিমাহুল্লাহর মহিমা এবং খাওয়ারিজদের বিদ্রোহ
ইতিহাস

উমার ইবন আবদুল আযীয রহিমাহুল্লাহর মহিমা এবং খাওয়ারিজদের বিদ্রোহ

নভেম্বর 23, 2024
পাকিস্তান; আইএসের সঙ্গে প্রকৃত যুদ্ধ নাকি কৌশলগত বাণিজ্য?
রাজনীতি

পাকিস্তান; আইএসের সঙ্গে প্রকৃত যুদ্ধ নাকি কৌশলগত বাণিজ্য?

মার্চ 20, 2025
রাসূলুল্লাহ (ﷺ)–এর বরকতময় জন্মের সময় পৃথিবীর অবস্থা!
ধর্মীয় লেখা

রাসূলুল্লাহ (ﷺ)–এর বরকতময় জন্মের সময় পৃথিবীর অবস্থা!

সেপ্টেম্বর 21, 2024
আইএস একটি মহামারির নাম | উনবিংশ পর্ব
দাঈশ

আইএস একটি মহামারির নাম | উনবিংশ পর্ব

জুন 29, 2025
বিশৃঙ্খল গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সমন্বয় দৃঢ়করণের লক্ষ্যে আইএসআই প্রতিনিধি দলের তুরস্ক সফর
নিউজ

বিশৃঙ্খল গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সমন্বয় দৃঢ়করণের লক্ষ্যে আইএসআই প্রতিনিধি দলের তুরস্ক সফর

জানুয়ারি 30, 2025
ইরাকের সালাহুদ্দীন প্রদেশের আইএসআইএস গভর্নর বিমান হামলায় নিহত হয়েছে
দাঈশ খাওয়ারিজ

ইরাকের সালাহুদ্দীন প্রদেশের আইএসআইএস গভর্নর বিমান হামলায় নিহত হয়েছে

অক্টোবর 11, 2024
পাকিস্তানের কূটচক্রান্ত: চীনকে আঞ্চলিক প্রক্সি যুদ্ধে জড়িয়ে নিজের স্বার্থ হাসিলের প্রচেষ্টা
রাজনীতি

পাকিস্তানের কূটচক্রান্ত: চীনকে আঞ্চলিক প্রক্সি যুদ্ধে জড়িয়ে নিজের স্বার্থ হাসিলের প্রচেষ্টা

নভেম্বর 23, 2024
তেহরিকে হামাস: খাওয়ারিজদের তাকফির থেকে আল কাসসামের বিজয় পর্যন্ত!
দাঈশ

তেহরিকে হামাস: খাওয়ারিজদের তাকফির থেকে আল কাসসামের বিজয় পর্যন্ত!

অক্টোবর 27, 2024
আইএস-খোরাসানকে বৈশ্বিক হুমকি হিসেবে দাঁড় করানোর নীতি: এর নেপথ্যে কারা, কেন এবং কী উদ্দেশ্যে?
ব্লগ

আইএস-খোরাসানকে বৈশ্বিক হুমকি হিসেবে দাঁড় করানোর নীতি: এর নেপথ্যে কারা, কেন এবং কী উদ্দেশ্যে?

মার্চ 1, 2025

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

    • Trending
    • Comments
    • Latest
    আইএস একটি মহামারীর নাম

    আইএস একটি মহামারীর নাম

    জুলাই 4, 2024
    আমানুল্লাহ খান: ব্রিটিশবিরোধী জিহাদের ফলাফল বিনষ্টকারী

    আমানুল্লাহ খান: ব্রিটিশবিরোধী জিহাদের ফলাফল বিনষ্টকারী

    আগস্ট 23, 2024
    আপনার সন্তানকে আইএসের আদর্শ থেকে দূরে রাখুন

    আপনার সন্তানকে আইএসের আদর্শ থেকে দূরে রাখুন

    মে 12, 2024

    দাঈশ খাওয়ারিজরা গাযযা ও তুফানুল আকসার নামে মানুষদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছে

    মে 8, 2024
    মাযলুমদের জন্য রহমত: শায়খ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ

    মাযলুমদের জন্য রহমত: শায়খ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ

    0

    দাঈশ খাওয়ারিজরা গাযযা ও তুফানুল আকসার নামে মানুষদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছে

    0
    কলমের কণ্ঠে মুসলিম উম্মাহর করুণ দশার ব্যাপারে কিছু কথা

    কলমের কণ্ঠে মুসলিম উম্মাহর করুণ দশার ব্যাপারে কিছু কথা

    0
    মুসলিম উম্মাহর তৃতীয় উমার

    মুসলিম উম্মাহর তৃতীয় উমার

    0
    ইতিহাসের পাতায় উসমানি খিলাফত | দ্বিতীয় পর্ব

    ইতিহাসের পাতায় উসমানি খিলাফত | দ্বিতীয় পর্ব

    জুলাই 30, 2025
    দাঈশের বুদ্ধিবৃত্তিক প্রোপাগাণ্ডা

    দাঈশের বুদ্ধিবৃত্তিক প্রোপাগাণ্ডা

    জুলাই 29, 2025
    ইসলামি ইমারাতের বিরুদ্ধে দাঈশি খারিজিদের প্রোপাগাণ্ডা ও আপত্তিসমূহের শরঈ বিশ্লেষণ | দ্বিতীয় পর্ব

    ইসলামি ইমারাতের বিরুদ্ধে দাঈশি খারিজিদের প্রোপাগাণ্ডা ও আপত্তিসমূহের শরঈ বিশ্লেষণ | দ্বিতীয় পর্ব

    জুলাই 27, 2025
    সামরিক কার্যক্রমে ব্যর্থতার পর অপহরণ ও চাঁদাবাজিতে মনোযোগ দিচ্ছে আইএসকেপি

    সামরিক কার্যক্রমে ব্যর্থতার পর অপহরণ ও চাঁদাবাজিতে মনোযোগ দিচ্ছে আইএসকেপি

    জুলাই 27, 2025

    news

    ইতিহাসের পাতায় উসমানি খিলাফত | দ্বিতীয় পর্ব

    ইতিহাসের পাতায় উসমানি খিলাফত | দ্বিতীয় পর্ব

    জুলাই 30, 2025
    দাঈশের বুদ্ধিবৃত্তিক প্রোপাগাণ্ডা

    দাঈশের বুদ্ধিবৃত্তিক প্রোপাগাণ্ডা

    জুলাই 29, 2025
    ইসলামি ইমারাতের বিরুদ্ধে দাঈশি খারিজিদের প্রোপাগাণ্ডা ও আপত্তিসমূহের শরঈ বিশ্লেষণ | দ্বিতীয় পর্ব

    ইসলামি ইমারাতের বিরুদ্ধে দাঈশি খারিজিদের প্রোপাগাণ্ডা ও আপত্তিসমূহের শরঈ বিশ্লেষণ | দ্বিতীয় পর্ব

    জুলাই 27, 2025
    সামরিক কার্যক্রমে ব্যর্থতার পর অপহরণ ও চাঁদাবাজিতে মনোযোগ দিচ্ছে আইএসকেপি

    সামরিক কার্যক্রমে ব্যর্থতার পর অপহরণ ও চাঁদাবাজিতে মনোযোগ দিচ্ছে আইএসকেপি

    জুলাই 27, 2025
    • লাইব্রেরি
    আল-মুরসাদ সংযোগ : info@almirsaad.com

    সর্বজনীন অধিকার সকল মুসলমানের জন্য সংরক্ষিত .

    Welcome Back!

    Login to your account below

    Forgotten Password?

    Retrieve your password

    Please enter your username or email address to reset your password.

    Log In

    Add New Playlist

    No Result
    View All Result
    • বাড়ি
    • বিবৃতি
    • সংবাদ
    • বিশ্লেষণ এবং লেখা
    • ইসলামিক স্কলার
    • উম্মাহর বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের
    • লাইব্রেরি
    • প্রকাশনা
    • ইনফোগ্রাফিক
    • সাবধান
      • عربي
      • EN
      • اردو
      • دري
      • پښتو

    সর্বজনীন অধিকার সকল মুসলমানের জন্য সংরক্ষিত .

    Go to mobile version