✍🏻 আবু হাজার আল কুর্দি
পূর্বের পর্বে হাজরে আসওয়াদের কৌশলগত অবস্থান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এবার আমরা এই অঞ্চলে আইএসআইএসের দখল ও তাদের কর্মকাণ্ডের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরব।
২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে আইএসআইএস অপরাধীরা হঠাৎ আক্রমণ চালায়। স্থানীয় কিছু বিশ্বাসঘাতক গোয়েন্দাদের সহযোগিতায় তারা হাজরে আসওয়াদে প্রবেশের সুযোগ পায়।
বিভ্রান্তিকর স্লোগান ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তারা দ্রুত জনসাধারণের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করে। আইএসআইএসের আগমনের পূর্বে এই অঞ্চল ছিল জাবাহাতুন নুসরাহর মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণে, যারা বাশার আল আসাদের শাসনের জন্য একটি বড় হুমকি হিসেবে বিবেচিত হতেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নুসাইরি শাসন তাদের গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক এবং সামরিক সরঞ্জাম সক্রিয় করে মুজাহিদদের নির্মূলের চেষ্টা চালায়, যাতে তাদের বাহিনী কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে।
হাজরে আসওয়াদ দখলের পর আইএসআইএস সিরিয়া সরকারের বিরোধী বহু ব্যক্তিকে নির্মমভাবে হত্যা করে। যার মধ্যে আকনাফে বাইতুল মাকদিস (ইয়ারমুক শরণার্থী শিবিরের একটি ফিলিস্তিনি দল) এবং স্থানীয় অন্যান্য দলের সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত ছিল। তারা ধোঁকা ও প্রতারণার মাধ্যমে বিশিষ্ট মুজাহির ও আনসার মুজাহিদদের রক্তপাত ঘটায়।
গবেষণা থেকে জানা যায়, দখলের পর আইএসআইএস দুই শতাধিক মুজাহিদকে হত্যা করে এবং অসংখ্য শিশুকে ইয়াতিম করে ফেলে। তারা কোনো ইতিবাচক অবদান রাখার পরিবর্তে সুন্নি যুবকদের ওপর চালানো সহিংসতাকে নিজেদের “সাফল্য” হিসেবে দাবি করে। সিরিয়া ও ইরাকে তাদের কথিত অর্জন শুধু মুজাহিদ ও বৃহত্তর জিহাদি আন্দোলনের ক্ষতিই করেছে।
আইএসআইএস প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্যই ছিল ইসলামের একটি বিকৃত ও নেতিবাচক চিত্র তুলে ধরা। ইসলামের শত্রুরা তাদের সভা-সমাবেশে এই কর্মকাণ্ডগুলো প্রচার করে ইসলামকে সহিংসতার ধর্ম হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করে। এই দৃশ্যপটগুলো অবশ্য তাদেরই তৈরি করা, যেখানে বিক্রি হওয়া আইএসআইএসের অপরাধীদের কর্মকাণ্ড প্রচারিত হয় এবং বিশ্বব্যাপী ঘোষিত হয়।
চলবে….