গত শুক্রবার গভীর রাতে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে, ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন জোটের সমন্বয়ে পরিচালিত এক সুপরিকল্পিত অভিযানে আইএসের এক শীর্ষ নেতাকে হত্যার মাধ্যমে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মাদ শিয়া আসসুদানি তার এক্স অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেন যে, আইএসের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা আবদুল্লাহ মাকি মুসলিহ আর-রিফাঈকে এক যৌথ অভিযানের মাধ্যমে নির্মূল করা হয়েছে। যদিও তিনি অভিযানস্থলের নির্দিষ্ট বিবরণ প্রকাশ করেননি, তবু ইরাকি গণমাধ্যম নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে জানিয়েছে যে, আর-রিফাঈ আনবার প্রদেশে হত্যার শিকার হয়।
আবদুল্লাহ মাকি মুসলিহ আর-রিফাঈ, যে “আবু খাদিজা” ছদ্মনামে পরিচিত ছিল, আইএসের কাঠামোয় এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচিত হত। সে সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের ঠিক নীচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত ছিল। তার কাঁধে উপ-খলিফার গুরুদায়িত্ব অর্পিত ছিল, পাশাপাশি সে ইরাক ও সিরিয়ার ওয়ালি, অনুমোদিত কমিটির প্রধান এবং বহিরাগত সামরিক কার্যক্রম পরিচালনাকারী দপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিল।
আবু খাদিজার মৃত্যুকে আইএসের জন্য এক বিরাট আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ সংগঠনটি ইতোমধ্যেই নেতৃত্ব সংকটের এক গভীর সঙ্কটে নিপতিত। তার হত্যাকাণ্ড নিঃসন্দেহে সংগঠনটির অভ্যন্তরীণ ভারসাম্যকে আরও বিপর্যস্ত করবে এবং তার কৌশলগত গতিধারাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করবে।