বারয়াল ফাতিহ
ইসলামি রাজনৈতিক ব্যবস্থায় “আমর বিল মা’রূফ” এবং “নাহি আনিল মুনকার” একটি মৌলিক স্তম্ভ, তাই ইসলামি সরকারের উচিত এই স্তম্ভটিকে সর্বোত্তম উপায়ে বাস্তবায়ন করা।
কয়েকদিন আগে ইমারাতে ইসলামিয়ার মন্ত্রণালয় তার কার্যাবলী সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য এই আইন প্রস্তাবিত করেছে, যা আমীরুল মুমিনীন হাফিযাহুল্লাহর সত্যায়নের পরে প্রকাশিত হয়েছে।
এই আইন বাস্তবায়নে সকল জনগণ খুশি, কারণ এর বাস্তবায়নে কেউ স্বেচ্ছাচারিতা করতে পারবে না, কারো অধিকার লঙ্ঘিত হবে না। আর এই কাজগুলো এমন ব্যক্তিদের উপর ন্যস্ত করা হবে যারা শরীয়ত ও আইনের দৃষ্টিতে এর জন্য যোগ্য হবে।
কিন্তু প্রাক্তন কাবুল প্রশাসনের ভণ্ড ও দুর্নীতিবাজরা এই আইনের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছিল যে, কেন এমন আইন প্রয়োগ করা হয়েছে? তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার। এই লোকেরা চায় না আফগান ধর্মীয় সমাজে আরেকবার ইসলামি বিধিবিধান কার্যকর হোক।
এ লোকেরা ইসলাম এবং এর আদেশ-নিষেধকে ভয় পায় কারণ এখানে তাদের স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বাধীনতা নেই। অতএব, তাদের প্রচেষ্টা হলো যতটা সম্ভব ইসলামি বিধি-নিষেধকে বাদ দেয়া। এটি কেবল তাদের জন্যই মঙ্গলজনক, কারণ এই লোকেরা বস্তুবাদ ও ধর্মহীনতায় অনেক এগিয়ে গিয়েছে। যে ব্যক্তি যত বড় দেশদ্রোহী, গোলাম ও বিদেশীদের দালাল হবে, সে ব্যক্তি তাদের নিকট সরকার হওয়ার অধিক হকদার হবে।
সুতরাং এই লোকেরা শুধু এই আইনের বিরোধিতা করেই ক্ষান্ত হবে না, ইসলাম ও ধর্মীয় সংস্কৃতিকে শক্তিশালী ও প্রচারের দিকে নিয়ে যায় এমন প্রতিটি উদ্যোগের বিরোধিতা করবে। এই লোকেরা সরকার থেকে আলেমদের অপসারণ করতে চায় যাতে সমাজ থেকে ধর্মীয় আদেশ নির্মূল করা যায়। কারণ আলেমরা চলে গেলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে সমাজের মূল্যবোধ ও অগ্রাধিকার পাল্টে যাবে।
আমাদের সমাজ একটি ধার্মিক সমাজ। এখানের প্রতিটি ব্যক্তিই কামনা করে শরিয়াহ আইন সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হোক। যে এর বিরুদ্ধে দাঁড়াবে, সরকার তাকে কড়া শাস্তি প্রদান করবেন।