মুহাম্মাদ ওয়াসিম তারিন
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগমনের পূর্বে আফগানিস্তানে উপনিবেশ স্থাপনের জন্য অনেক কাজ করা হয়েছিল। এমনকি সোভিয়েত আক্রমণের সময়ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগমনের জন্য ময়দান প্রস্তুত করার চেষ্টা করা হচ্ছিল।
এই উদ্দেশ্যের খাতিরে যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক, সামরিক, একাডেমিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সবার এমনভাবে ব্রেইন ওয়াশ করেছিল যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও প্রতিটি বিষয়ে আমেরিকার নাম ব্যবহার করে উদাহরণ পেশ করতো তখন।
সময় কেটে গিয়ে ২০০১ সাল এল। আমেরিকা নতুন যুদ্ধ শুরু করল, কিন্তু এই যুদ্ধটি আগের যুদ্ধগুলির থেকে আলাদা ছিল। সেখানে তাদের নীতিবাক্য ছিল, আমাদের চিন্তাধারা আপনারা গিলে নিয়ে ভূমি আমাদের হাতে ছেড়ে দিন। কেননা যদি চিন্তাধারায় বহিরাগতদের দখল এসে যায় তবে ভূমির স্বাধীনতা অর্থহীন হয়ে পড়ে। এই নীতিবাক্য বাস্তবায়নের জন্য আমেরিকা রেডিও, টিভি, ম্যাগাজিন, বই এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইট তৈরি করে এবং একাডেমিক সেক্টরে কাজ শুরু করে।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমন প্রজন্ম স্নাতক হচ্ছিল, যারা কেবলমাত্র বস্তুগত অগ্রগতি বোঝে। নিজেদের দিক থেকে তো তারা তাত্ত্বিকভাবে প্রশিক্ষিত ছিল কিন্তু কোনো প্রায়োগিক কাজে সক্ষম ছিল না। এমতাবস্থায় তাদের সকল প্রচেষ্টা ছিল ধোঁকা ও প্রতারণার মাধ্যমে বস্তুগত ফায়দা হাসিল করা।
নিজস্ব লক্ষ্য অর্জনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব ধরনের বিলাসিতা ও অশ্লীলতার ব্যবস্থা করেছিল। অশ্লীলতার উদাহরণ হিসাবে যা আমরা স্বচক্ষে দেখেছি— দেশের একটি মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় (আমেরিকান ইউনিভার্সিটি আফগানিস্তান) থেকে বিজয়ের পর কয়েক ডজন সমকামী পালিয়ে গেছে। তারা স্বীকার করেছে যে, আমরা সমকামিতার প্রচার-প্রসারের উদ্দেশ্যে এখানে ছিলাম। যাইহোক, কিছু ব্যতিক্রমও ছিল। কিছু ছাত্র খুব ভালো মুজাহিদীন ছিলেন এবং এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন।
সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে হানাদাররা সামরিক পরাজয়ের সম্মুখীন হয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু আমরা এমন কিছু ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি যা কল্পনাও করা যায় না। যেমন:
সবচেয়ে খারাপ শিক্ষা কারিকুলাম। এই কারিকুলামের মাধ্যমে তরুণদের কু-প্রশিক্ষণ। এই শিক্ষিত প্রজন্মই ইসলাম বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় বাধা। একটি খারাপ পরিবেশ যেখানে বেড়ে ওঠা বাসিন্দারা কেবল বস্তুবাদ এবং কামুকতাই জানে। এ অশ্লীলতার কারণেই যুবকরা তাদের আত্মসম্মানবোধ হারিয়ে ফেলে।