দাঈশ একটি মহামারির নাম

[অষ্টম পর্ব]

#image_title

আবু হাজার আল কুরদী

 

২০১৪ সালে আইএস দ্বারা সংঘটিত সমস্ত অপরাধ মূলত জিহাদি আন্দোলন আর বাগদাদির অনুসারীদের মধ্যে একটি বিস্তৃত সংঘাতের সূচনা পর্ব।

মুজাহিদীনগণ যখন দাঈশের পক্ষ থেকে বিশ্বাসঘাতকতা অনুধাবন করতে পেরেছিলেন, তখন বিভিন্ন প্রদেশে বাশার আল আসাদের বাহিনীর সাথে নিযুক্ত যুদ্ধক্ষেত্রসমূহ যেমন আলেপ্পো, দেইর আল যুর, হাসকাহ, রাক্কা এবং হামসের মতো এলাকাগুলি ছেড়ে দাঈশ বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করতে ময়দানে জড়ো হয়েছিলেন।

বহুবার এমনটা দেখা গেছে যে, জিহাদি আন্দোলনের কাফেলা দাঈশকে দমন করার জন্য বিভিন্ন এলাকার দিকে রওনা হয়েছে এমনাবস্থায় মুজাহিদীনদের লক্ষ্য করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোট ড্রোন হামলা করেছে। মুজাহিদীনদের সহজে দাঈশের এলাকায় প্রবেশ করে তাদের সাথে যুদ্ধ করতে এ সম্প্রদায় বারবার বাধা দিয়েছে।

জিহাদি আন্দোলনের কেন্দ্রগুলোতে আন্তর্জাতিক জোটের বোমা হামলার ফলাফল হলো— দাঈশ বাহিনীর অগ্রযাত্রার পাশাপাশি নাসিরি বাহিনী এবং কুর্দি বাহিনী “ওয়াহদাত হিমায়াতুশ শা’ব” (YPG) কর্তৃক মুজাহিদীনদের এলাকাগুলো দখল করে নেয়া। এভাবেই আন্তর্জাতিক জোট আইএসআইএস দমনে নিয়োজিত মুজাহিদীনদের দুর্বল করে তাদের পিছু হটতে বাধ্য করেছিল।

আইএসআইএসকে নির্মূল করার জন্য সামরিক বাহিনী তৈরি করে তাদের রণক্ষেত্রে পাঠানোর উদ্দেশ্য ছিল মুজাহিদীনদের ধর্মীয় দায়িত্ব মানবিক দায়িত্ব। অন্যথায় এই বিষাক্ত সাপকে ছেড়ে দিয়ে নিজের মতো করে বাড়তে দিলে সিরিয়ায় মুজাহিদদের বিজয় এবং সাফল্য খুব কঠিন হয়ে দাঁড়াত।

মুজাহিদীনগণের তথ্য বিভাগ যার নেতৃত্বে ছিলেন প্রখ্যাত উলামা, বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ; যারা ঐক্য ও সম্প্রীতির সাথে যুক্তি ও তর্কের মাধ্যমে আইএসআইএসের অস্তিত্বের খারাপ পরিণতি সম্পর্কে উম্মাহকে অবহিত করেছিলেন।

কিন্তু এতসব কষ্ট ও যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে মুজাহিদীনগণ দিনদিন দুর্বল হয়ে পড়েন এবং তাদের অগ্রগতি শ্লথ হয়ে যায়। আইএসআইএসের সাথে যুদ্ধে যোগ দেয়ার জন্য তাঁদের অনেককেই রক্ত এবং ত্যাগের মাধ্যমে জয় করা প্রদেশ ও শহর ছেড়ে যেতে হয়।

চলবে ইনশাআল্লাহ….

Abu Jundab Abdullah
Exit mobile version