আবু হাজার আল কুরদী
২০১৪ সালে আইএসআইএস দ্বারা যেসমস্ত অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল, তা ছিল মূলত জিহাদি আন্দোলন এবং বাগদাদির অনুসারীদের মধ্যকার বিস্তৃত সংঘাতের সূচনাপর্ব।
মুজাহিদীনগণ যখন আইএসের বিশ্বাসঘাতকতা সম্পর্কে অবগত হয়েছিলেন, তখন বাশার আল আসাদের বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত ক্ষেত্রগুলো যেমন— আলেপ্পো, দেইর আয যুর, হাসকাহ, রাক্কা এবং হামাসের মতো বিভিন্ন প্রদেশ ছেড়ে দাঈশ বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করার জন্য সকলে এক যুদ্ধক্ষেত্রে এসে একত্রিত হন।
এটি বেশ কয়েকবার লক্ষ্য করা হয়েছে যে, জিহাদি আন্দোলনের কাফেলাগুলি আইএসআইএসকে দমন করার জন্য বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক জোটের ড্রোনগুলো মুজাহিদীনদের লক্ষ্যবস্তু বানাত, তারা মুজাহিদীনদের সহজে আইএসআইএস অঞ্চলে প্রবেশ করতে এবং এই সম্প্রদায়ের সাথে লড়াই করতে দিত না।
জিহাদি আন্দোলনের অঞ্চলগুলোতে আন্তর্জাতিক জোটের বোমাবর্ষণের ফলে আইএসআইএস বাহিনীর অগ্রগতির পাশাপাশি, নাসিরি বাহিনী এবং কুর্দি বাহিনী “ওয়াহদাত হিমায়াতুশ শা’ব” (YPG) মুজাহিদীনদের এলাকাগুলো দখল করে নেয়। এভাবেই আন্তর্জাতিক জোট আইএসআইএস দমনে নিয়োজিত মুজাহিদীনদের দুর্বল করে তাদের পিছু হটতে বাধ্য করে।
আইএসআইএস নির্মূলের জন্য সামরিক ইউনিট গঠন করে ময়দানে ঝাপিয়ে পড়ার বিষয়ে মুজাহিদীনদের উদ্দেশ্য ছিল নিজ দায়িত্ব ও ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করা, অন্যথায় এই বিষধর সাপকে সহজে ছেড়ে দিলে সিরিয়ায় মুজাহিদীনদের জন্য বিজয় খুবই কঠিন হয়ে যেত।
মুজাহিদীনদের তথ্য বিভাগ খ্যাতিমান উলামা, বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞদের নেতৃত্বে, ঐক্য ও সম্প্রীতির সাথে, কুরআন-হাদিসের দলিল এবং যুক্তিতর্কের মাধ্যমে আইএসআইএসের অস্তিত্বের খারাপ পরিণতি সম্পর্কে জাতিকে অবহিত করেছেন।
এসব দুর্ভোগ ও হামলার মধ্যে দিয়ে গিয়ে মুজাহিদীনগণ দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়েন এবং তাদের অগ্রগতি শ্লথ হয়ে যায়। আইএসআইএসের সাথে যুদ্ধের কারণে তাদের অনেককে প্রদেশ ও শহর ছেড়ে চলে যেতে হয় যেগুলো তাঁরা রক্ত দিয়ে বিজয় করেছিলেন।