আইএসআইএস খাওয়ারিজ তাদের ঘৃণ্য লক্ষ্য অর্জনের জন্য যেকোনো কাজ করতে পারে। তাদের নেতা এবং তথাকথিত অনুসারীদের একে অপরের সাথে কোনো যোগাযোগ নেই কারণ এটি তাদের আসল জঘন্য চেহারা প্রকাশ করে দিবে।
তাদের বিরুদ্ধে ইসলামী ইমারাতের নিরাপত্তা বাহিনীর সংগ্রামের সময় তারা কীভাবে তাদের যোদ্ধা ও ভাড়াটে লোকদের নিয়োগ ও বাধ্য করেছে তা প্রমাণিত হয়েছে।
নিম্নে যোদ্ধা নিয়োগের জন্য আইএসআইএসের দ্বারা ব্যবহৃত কিছু পদ্ধতি সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো:
১. শিশু এবং কিশোর:
কেবল শরীয়াহ আইনেই নয়, সেকুলার আইনেও যুদ্ধ ও কঠোর পরিশ্রমের জন্য শিশুদের নিয়োগ বৈধ নয়। আইএসআইএস-খাওয়ারিজ কিছু এলাকা ও গ্রামে অভিযানের সময় বারবার শিশু ও কিশোরদের তাদের পরিবার থেকে ছিনিয়ে নিয়ে নিজেদের কাজ এবং যুদ্ধের জন্য তাদের গোলাম এবং গনিমত হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকে শিশুদের বাবা-মাকে বারবার হত্যার হুমকি দিয়ে তাদের সন্তানদের আইএসআইএসের হাতে তুলে দিতে বাধ্য করা হয়েছে।
২. অর্থের লোভ দেখিয়ে ব্যক্তি নিয়োগ:
আইএসআইএস বেকার, নিঃস্ব যুবক এবং পরিবারের থেকেও ফায়দা লুটেছে। তাদের উচ্চ বেতনের কথা বলা হয়েছে যা আনুমানিক মাসিক ৫০০-১০০০ ডলার। ডলারে বেতন দেয়া তাদের প্রভুদের ফাঁস করার একটি স্পষ্ট যুক্তি।
৩. পবিত্র জিহাদের নামে প্রতারণা:
খারেজীরা তাদের সংগ্রামকে ধর্মীয় পবিত্র সংগ্রাম হিসাবে দেখে। তারা তাদের ভাড়াটেদেরকে জান্নাত, রূহানী ফযিলত এবং অন্যান্য গুণাবলীর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়। যদিও তা সম্পূর্ণ মিথ্যা; প্রকৃতপক্ষে এই লোকেরা ইসলাম ধর্মকে বিকৃত ও অপমান করার জন্য লড়াই করে, যাদের আবাস অবশ্যই জাহান্নাম।
৪. অপহৃত শ্রমিক:
মুক্তিপণ এবং অর্থ প্রদান না করার পরে অপহরণকারী এবং বন্দীদের ঋণ এবং মুক্তিপণ পরিশোধের জন্য তাদের দলে নিয়োগ করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে সামরিক ও অন্যান্য পরিষেবা আদায় করা হয়, যার মধ্যে শিশু ও যুবক রয়েছে। তাদের এবং তাদের আত্মীয়দের হত্যার হুমকি দেয়া হতো, ফলে তারা তাদের সাথে যুদ্ধ এবং অন্যান্য কাজে যেতে বাধ্য হতো।
৫. ক্ষমতার প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে প্রতারণা:
খাওয়ারিজরা বিশ্বাস একদিন তারা এক বিশাল এবং বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে একটি সরকার এবং তথাকথিত খিলাফত প্রতিষ্ঠা করবে। তাই তারা তাদের ভাড়াটে সৈন্যদের বাচ্চাসুলভ সান্ত্বনা দেয় যে, খিলাফত প্রতিষ্ঠার পর তারা সম্মান ও পদের মালিক হবে এবং সরকারী সুযোগ-সুবিধা পাবে। আসলে তাদের এই স্বপ্ন বামন হয়ে চাঁদে হাত বাড়ানোর মতোই, পৃথিবীর উপরিভাগের কোনো অংশও এখন আর তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই।
৬. ত্রাস:
ভীতি ও আতঙ্ক ছড়ানোর মাধ্যমে দাঈশ খাওয়ারিজের আসল চেহারা পরিষ্কার হয়ে যায়। যদি আপনি অতীতের কথা বিবেচনা করেন— তারা তাদের যোদ্ধাদের, যারা যুদ্ধে পরাজিত ও পশ্চাদপসরণ করেছিল তাদের নিজ হাতে হত্যা করেছে অথবা গুম করেছে। তাদের ভাড়াটে গুণ্ডারা যারা তাদের জঘন্য চেহারা দেখে তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তাদেরকেও এই ধরনের হুমকি দিয়েছে।
এসব কর্মকাণ্ড বিচার করার মাধ্যমে দ্বীনের শত্রু খাওয়ারিজদের কুৎসিত চেহারা জনগণকে চিনতে হবে। তাদের উন্মোচন ও চিহ্নিতকরণে ইসলামী ইমারাতকে সহযোগিতা করে ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করতে হবে।