খারিজীরা ইসরায়েল ও আমেরিকার নির্মিত একটি প্রকল্প!

✍🏻 ইউনুস আযিয

পৃথিবীতে কিছু ক্ষমতাধর রাষ্ট্র নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য নিরপরাধ মানুষের ওপর যুলুম চালিয়ে থাকে। ইসরায়েল ও আমেরিকা সেই রাষ্ট্রগুলোর শীর্ষে অবস্থান করছে, যারা বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষের বিরুদ্ধে সহিংস অভিযান পরিচালনা করে; কারণ তারা মানুষের অধিকার স্বীকার না করে উল্টো সর্বত্র যুদ্ধ ও ধ্বংস ছড়িয়ে দেয়।

ইসরায়েল বহু দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করছে, মানুষকে উদ্বাস্তু বানাচ্ছে, শিশু ও নারীদের কোনো অপরাধ ছাড়াই নির্মম নির্যাতনের শিকার করছে। ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করে নিজেদের লোকদের হাতে তুলে দিচ্ছে। আমেরিকা এই ইসরায়েলকেই সমর্থন জোগাচ্ছে এবং সারা বিশ্বে যুদ্ধকে উসকে দিচ্ছে। অস্ত্র, অর্থ ও রাজনীতির মাধ্যমে মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে, বহু দেশকে নিজের স্বার্থে চাপে রাখছে এবং নিরপরাধ মানুষের জীবনকে ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে।

খারিজিদের রাজনীতি জবরদস্তি, সহিংসতা ও রক্তপাতের ওপর প্রতিষ্ঠিত। তারা মানুষের অধিকারকে সম্মান করে না; তাদের দৃষ্টিতে পুরো উম্মতে মুসলিমাই মুশরিক। তারা কেবল নিজেদেরই মুসলিম মনে করে এবং নিজেদের ছাড়া কেবল তাকেই মুসলিম স্বীকার করে, যে তাদের হাতে বায়‘আত গ্রহণ করে। নিজেদের লক্ষ্য ও স্বার্থ পূরণে তারা নিরপরাধ মানুষের জীবন উৎসর্গ করে দেয়।

ইসরায়েল ও আমেরিকার কিছু কর্মকাণ্ড যুলুমের চরম সীমা অতিক্রম করেছে। বিশ্বের মানুষের উচিত শান্তি, ন্যায়বিচার ও অধিকারের জন্য সচেতন হয়ে ওঠা; এসব যুলুমের বিরুদ্ধে সত্য দাবি করা এবং মযলুমের পাশে দাঁড়ানো। কেবল জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও ঐক্যের মাধ্যমেই আমরা যুলুমের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে পারি।

দাঈশ হলো মোসাদের একটি গোপন সংযোগসূত্র, যা ইসলামকে কলঙ্কিত করার উদ্দেশ্যে নিরপরাধ মুসলিমদের অন্যায়ভাবে রক্ত ঝরায়, কাফিরদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে এবং মুসলিমদের মুশরিক বলে গণ্য করে। আমেরিকা ও ইসরায়েলের প্রচেষ্টায় দাঈশকে বিশ্বের জন্য এক বৃহৎ ফিতনায় পরিণত করা হয়েছে, এবং বহু ক্ষেত্রে পাকিস্তানের সামরিক রেজিম তাদের সুরক্ষা দিয়ে থাকে। বিভিন্ন স্থানে দাঈশের লোকজন ধরা পড়েছে, যারা প্রতিবেশী দেশ থেকে আফগানিস্তানে প্রবেশ করেছিল।

কিন্তু আমাদের মুসলিমরা খারিজি ও ইয়াহুদিদের এসব পরিকল্পনা সম্পর্কে অজ্ঞ। তারা কেবল নিজেদের স্বার্থে পশ্চিমাদের জন্য কাজ করে এবং ইসলাম ও মুসলিমদের বদনাম করার চেষ্টা চালায়। এই গোষ্ঠী এতটাই অপবিত্র যে তাদের হৃদয়ে বিন্দুমাত্র দয়া নেই; তারা সর্বদা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এবং কাফিরদের সান্নিধ্যে থেকে নিজেদের বাতিল পরিকল্পনা এগিয়ে নেয়।

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়—যখনই মানুষ দাঈশি খারিজিদের চিনে ফেলে, তারা সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের গোষ্ঠীর নাম পরিবর্তন করে, যাতে মুসলিমরা আবার তাদের ওপর আস্থা স্থাপন করে। এখন সারা বিশ্ব জেনে গেছে দাঈশিরা কারা এবং কে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়। বহু অঞ্চলে তারা কেবল যুলুম ও সহিংসতার মাধ্যমেই পরিচিত। তাদের মধ্যে ইসলামের কোনো গুণ নেই, কোনো চিহ্ন নেই—তারা কেবল দাজ্জালি বাহিনীর জন্য পথ পরিষ্কার করছে।

গত ৫ই ডিসেম্বর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভারতের সফরে ছিলেন এবং সেখানে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উভয় নেতা বর্তমান ইসলামী ইমারাত আফগানিস্তানের প্রশংসা করেন এবং বলেন যে আফগানিস্তানে খারিজিদের দমন করা হয়েছে। দুই দেশের নেতাই আফগানিস্তানের সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। বিশ্ব এখন জানে—দাঈশিরা মোসাদের এজেন্ট, মোসাদের লোক, এবং সর্বত্র মোসাদ ও আমেরিকা তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে।

Exit mobile version