তলোয়ার : খাওয়ারিজদের একমাত্র প্রতিকার

আবু হাজার আল কুর্দি

#image_title

দাঈশের প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতা একটি সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে। তারা সন্ত্রাসবাদ প্রতিষ্ঠায় যেকোনো অপরাধ করতে দ্বিধাবোধ করে না।

ধর্মের চাদরে নিজেদের অপরাধ ঢেকে রাখার জন্য মুসলিমদের তাকফির করে করে হত্যা করা আইএসআইএসের কর্মকাণ্ডের শিরোনামে পরিণত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ মুসলিমদের চতুর্থ খলিফা সাইয়্যিদুনা আলী রদিয়াল্লাহু আনহুর শাহাদাত; ইবনে মুলজাম প্রথমে তাঁকে তাকফির করে এবং তারপর তাঁকে শহীদ করে।

এটাই বাস্তবতা যে আজ আইএসআইএস মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে যে কাউকে শহীদ করছে। এ থেকে বোঝা যায় সমসাময়িক খারেজীরা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহুর আমলের খারেজীদের অনুসারী, তবে বর্তমান খারেজীদের কর্মকাণ্ড এবং তাদের অপরাধ আদি খারেজীদের অপরাধের চেয়েও বহুগুণ বেশি গুরুতর।

যদি খারেজীদেরকে তাওবা করার সুযোগ দেয়া হয় তাহলে তা তাদের জন্য কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়াবে এবং মুষ্টিমেয় কিছু লোকই থাকবে যারা এসব মন্দ চিন্তাকে ঘৃণা করে সংস্কারের পথ অবলম্বন করবে।

তারা সর্বদা মুসলিমদের হত্যা ও ধ্বংসের জন্য উদ্বিগ্ন এবং প্রকৃতপক্ষে তারা তাগুতের সীমানা রক্ষাকারী।

গাযযার মুজাহিদীনদের অস্ত্র সরবরাহের আড়ালে মিশরের উত্তর সিনাইয়ে কয়েক ডজন লোকের শাহাদত এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

দাঈশের একটি নিকৃষ্ট কাজ ছিল, হামাসের মুজাহিদদের সহযোগিতা করার অভিযোগে একজন মুজাহিদের শিরশ্ছেদ করা। এছাড়াও তারা সিনাই মরুভূমি থেকে আল কায়েদার মুজাহিদীনদের সম্পূর্ণ নির্মূল করেছে, যার কারণে ইসরায়েলি সরকার নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অতীতের তুলনায় বহুগুণ বেশি নির্যাতন চালাচ্ছে।

ইতিহাস জুড়ে খারেজীরা অপরাধ ও বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কিছুই করেনি, সুতরাং তাদের ব্যাপারে একটিই সমাধান হতে পারে। কেননা কারাগারে পাঠিয়ে বা দাওয়াত দিয়ে তাদের সংস্কার সম্ভব নয় (ইল্লা মা শা আল্লাহ)। শুধুমাত্র সাইয়্যিদুনা আলী রদিআল্লাহু আনহুর তলোয়ারই মুসলিম এবং এই সম্প্রদায়ের মধ্যে সমাধ করতে পারে। তলোয়ার; খাওয়ারিজদের একমাত্র প্রতিকার।

Exit mobile version