নাসীবুল্লাহ মানসূর
وقل جاء الحق وزھق الباطل۔۔ ان الباطل کان زھوقا
হক এসেছে আর বাতিল বিলুপ্ত হয়েছে। বাতিল তো বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল।
আসাদ মাসের ২৪ তারিখ (আগস্টের ১৫ তারিখ) আফগানিস্তানের পবিত্র ভূমি হকের বিজয় ও বাতিলের পরাজয়ের এক ঐতিহাসিক দিনের সাক্ষী। আল্লাহ তাআলা এই দিনটিকে বেছে নিয়েছেন কুফর ব্যবস্থার অবসান এবং ইসলামের মহৎ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্যে।
এই সেই ঐতিহাসিক দিন, যেদিন আল্লাহ তাঁর নম্র দুর্বল বান্দাদের হাতে কুফর ও নাস্তিকতার সু্উচ্চ প্রাসাদগুলোকে গুড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং কুফরীর সেই ঠিকাদার আমেরিকাকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন যে নিজের ঔপনিবেশিক জালে পুরো বিশ্বকে আটকে রাখতে চেয়েছিল।
সেদিন ঔপনিবেশিক ক্রুসেডার আমেরিকার তৈরি স্বৈরাচারী ও অত্যাচারী সরকার কাবুল প্রশাসন ও এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বপ্ন ও আকাঙ্খা সম্পূর্ণভাবে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
ইসলামি ইমারাতের নেতৃত্বে মুজাহিদীনদের সুদীর্ঘ দুই দশকের সংগ্রামের জাহাজটিকে আল্লাহ নিরাপদে তীরে পৌঁছে দেন। ইসলামি ইমারাতের বিজয় এবং আফগানিস্তানের মধ্যে কুফর নির্মূল শুধুমাত্র আফগানদের জন্য নয় বরং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জন্য তাৎপর্য বহন করে।
২৪শে আসাদ (১৫ই আগস্ট)–এ যে মূল পরিবর্তনগুলি ঘটেছিল:
১- যেভাবে মক্কা বিজয় হয়েছিল এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মূর্তিগুলো ধ্বংস করেছিলেন, ঠিক একইভাবে আসাদের ২৪ তারিখে আল্লাহ প্রজাতন্ত্র, গণতন্ত্র, আঞ্চলিক শাসনের এ ভ্রান্ত ব্যবস্থাকে নির্মূল করেন। প্রজাতন্ত্রের পতাকা ও এর ছায়াতলকে ইসলামি ব্যবস্থা, একটি একক কেন্দ্রীয় আমীর এবং সাদা কালিমার পতাকা দিয়ে প্রতিস্থাপিত করেন, যা সমগ্র মুসলিম উম্মাহর অন্তরাকাঙ্খা পূরণ করেছিল।
২- মক্কা বিজয়ের পর আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর শত্রুদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। একইভাবে ইসলামি ইমারাতের সর্বোচ্চ নেতা, আমীরুল মুমিনীন তাদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিলেন যারা ২০ বছরের দখলদারিত্বের সময় আমেরিকানদের সমর্থন করেছিল এবং নিরীহ আফগানদের ক্ষতি করেছিল। তাদের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছিল।
৩- মক্কা বিজয়ের সাথে সাথে মক্কাবাসীরা নিশ্চিত হয়ে গেলো যে ইসলাম আনা ছাড়া আর কোন উপায় নেই, তাই তারা দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করতে শুরু করে। একইভাবে আফগানিস্তান বিজয়ের পর ইসলামি ইমারাতের ন্যায়পরায়ণতা এবং জিহাদের বরকতে ঔপনিবেশিকতার হাতিয়ার ও লেজ উভয়টিই দুর্বল হয়ে পড়ে, তাদের মধ্যে মতভেদ দেখা দেয় এবং তাদের পা পিছলে যেতে থাকে। এভাবে একের পর এক সবাই নিজেদের পরাজয় মেনে নিয়ে ইসলামি ইমারাতের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
সংক্ষেপে ২৪শে (১৫ই আগস্ট) সেই ঐতিহাসিক দিন যেদিন আল্লাহ তাআলা আফগানিস্তানের বরকতময় ভূমিকে কাফের ও ঔপনিবেশিকতার অপবিত্র পরিকল্পনা থেকে মুক্ত করেছিলেন এবং এখানে ইসলামি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
আলহামদুলিল্লাহ