শনিবার, ২৯ মার্চ (২৮তম রমযান), বেলুচিস্তানের মাটিতে এক ভয়াবহ অধ্যায় রচিত হতে পারত, যখন আইএসআইএসের এক আত্মঘাতী সন্ত্রাসী বেলুচ প্রতিবাদকারীদের এক সমাবেশকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর প্রয়াস চালায়। তবে তার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়।
প্রতিবেদন অনুসারে, এই ঘটনা মাসতুংয়ের লাকপাস এলাকায় ভোররাতে সংঘটিত হয়; যেখানে পাকিস্তানি শাসনব্যবস্থার নিপীড়নমূলক নীতির বিরুদ্ধে সরদার আখতার মেঙ্গলের নেতৃত্বে একটি গণজাগরণ অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। এক আত্মঘাতী জঙ্গি এই প্রতিবাদ সমাবেশের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক আঘাত হানতে উদ্যত হলে উপস্থিত জনতা তাকে শনাক্ত করে। পালিয়ে যাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টার পর সে শরীরে বাঁধা বিস্ফোরক সক্রিয় করে, যার ফলে সে নিজেই মৃত্যুবরণ করে।
প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, এই আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কোনো প্রতিবাদকারী হতাহত হয়নি।
গত কয়েকদিন ধরে সরদার আখতার মেঙ্গলের নেতৃত্বে বেলুচ আন্দোলনকারীরা জোরপূর্বক গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছেন। তারা ইসলামাবাদের শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ন্যায়বিচার এবং মৌলিক মানবিক অধিকারের দাবি জানিয়ে চলেছেন।
বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, ১০ জুলাই ২০২৪-এ আইএসআইএসের সহযোগী একটি গুরুত্বপূর্ণ নেটওয়ার্ক থেকে উদ্ধারকৃত এক তালিকায় সরদার আখতার মেঙ্গলের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই তালিকাটি পাকিস্তানের অভ্যন্তরে আইএসআইএসের টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের নাম ধারণ করেছিল এবং ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে আল মিরসাদ মিডিয়ার মাধ্যমে তা জনসমক্ষে প্রকাশিত হয়। তালিকাটি এখানে সংরক্ষিত রয়েছে।
মাসতুং, যা দীর্ঘদিন ধরে আইএসকেপি (ISKP) এবং এর তথাকথিত “পাকিস্তান প্রদেশের” জন্য একটি কৌশলগত ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, সেই অঞ্চলে সংঘটিত এই ব্যর্থ হামলা পুনরায় প্রমাণ করে যে জঙ্গিবাদী নেটওয়ার্কগুলো এখানে সুসংগঠিত। এই ঘটনাটি আরও ইঙ্গিত দেয় যে, পাকিস্তানের সামরিক ও শাসনতান্ত্রিক কাঠামো হয়তো নিজেদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের দমন করার গোপন কৌশল হিসেবে এই সন্ত্রাসী শক্তিকে ব্যবহার করছে।