উসমান আহমাদযাই
একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে সমস্ত দেশ ক্ষমতা লাভের জন্য কিছু বিষয়ে তাদের মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছিল— যেমন মহাসড়ক, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং জনশক্তি ইত্যাদি।
আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলোর রিজার্ভের মাধ্যমে ইউরোপ আজ এই পর্যায়ে পৌঁছেছে, তবুও কাঁচামালের জন্য আফ্রিকাকে তারা হাতছাড়া করতে চায় না।
কিন্তু সেখানে একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে আশ শাবাব নামে একটি গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পূর্ব আফ্রিকাকে ইউরোপ থেকে মুক্ত করে সেখানে ইসলামী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের তৎপরতা শুরু করে।
আশ শাবাবের তৎপরতার মূল উদ্দেশ্য ছিল আফ্রিকা থেকে আক্রমণকারীদের বিতাড়িত করা এবং সেখানে ইসলামী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু ইউরোপের দেশসমূহ, আমেরিকা ও চীন চিন্তিত হয়ে পড়ে যে আফ্রিকা আমাদের হাত থেকে চলে যাচ্ছে, তারপর তারা আশ শাবাবের কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিল কিন্তু সবই ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছিল।
অবশেষে তারা আশ শাবাবকে দুর্বল করার জন্য সেখানে আইএসআইএস নামে একটি গোয়েন্দা প্রক্সি গ্রুপ গঠন করে, যেন তারা আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলে (সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, উগান্ডা এবং কেনিয়া) তেল, গ্যাস, সোনা, ইউরেনিয়াম এবং অন্যান্য মূল্যবান খনিজগুলি না হারায়।
এই গোয়েন্দা প্রক্সি গ্রুপটি এমন এক সময়ে আশ শাবাবের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে যখন তারা এই অঞ্চলে জয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিল। ইয়াহুদীদের অর্থনৈতিক শ্রেষ্ঠত্বের স্বার্থে সেখানে ইসলামি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথ রুদ্ধ করছিল আইএস।
যদি এই অঞ্চলে ইসলামী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এই অঞ্চলটি আশ শাবাবের হাতে চলে যায়, তাহলে আফ্রিকার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশে আমাদের একটি ইসলামি ব্যবস্থা থাকবে। এই অঞ্চলটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রচুর পরিমাণে খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের কাঁচামালের জন্য এই অঞ্চলের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এই কারণেই তারা একটি ইসলামি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বাধা দিচ্ছে এবং এই অঞ্চলের খনিজ সম্পদ লুট করার জন্য আইএসআইএস নামে একটি গোয়েন্দা প্রক্সি গ্রুপ তৈরি করে অর্থায়ন করছে।