১৫ই আগস্ট আইএসেরও পতনের দিন

#image_title

ইঞ্জিনিয়ার উমার

 

ঔপনিবেশিকতা সেই ভয়ানক মহামারির নাম, যা নিজের সঙ্গে করে নিয়ে আসে বহু ভয়ঙ্কর পরিণাম। ঔপনিবেশিকতাই মতাদর্শিক দাঙ্গার পথ প্রশস্ত করে। একটি ভূমিকে আঞ্চলিক, জাতিগত ও মতাদর্শিক খণ্ডে বিভক্ত করে তা ভেঙে ফেলার রাস্তা সুগম করে, যা আমরা গত কয়েক দশকে অনুভব করেছি।

২৪শে আসাদ (১৫ই আগস্ট) এর আগে ঔপনিবেশিক বাহিনী বিশেষ করে কাবুল প্রশাসন বারবার বলছিল যে, আফগানিস্তানে বিভিন্ন গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে সুতরাং শুধুমাত্র তালেবানের সাথে শান্তিপূর্ণ আলোচনা করে কোনো ফায়দা নেই। এই দাবিকে প্রমাণ করার জন্য তারা বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছিল, যার মধ্যে একটি হলো আইএসআইএসকে পাহাড় থেকে বের করে শহরগুলিতে নিয়ে আসা। বিশেষ করে নানগারহার এবং কাবুলে তাদের নিরিবিলি বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছিল।

আইএসআইএস নিজের প্রচারের খাতিরে আমেরিকার নির্দেশে মসজিদ, সাধারণ মানুষ, ধর্মীয় কেন্দ্র এবং আলেমদের টার্গেট করেছিল যাতে মিডিয়া এই অঞ্চল ও বিশ্বে তাদের উপস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে। কিন্তু কাবুল প্রশাসনের কর্মকর্তারা বারবার এসবের জন্য ইসলামি ইমারাতকে দায়ী করে জনগণের মনে ইসলামি ইমারাতের প্রতি শত্রুতার বীজ বপন করে।

কিন্তু ২৪শে আসাদের পর (১৫ই আগস্ট) যখন ইসলামি ইমারাত সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে, তখন দাঈশ আঞ্চলিক গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় সেই সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে কাবুল ও নাঙ্গারহারে কিছু অপরাধ ঘটায়। কিন্তু ইসলামি ইমারাতের কয়েক মাসের অব্যাহত প্রচেষ্টায় ফের আরেকবার আইএসআইএসের মূল উৎপাটন করা হয়, তাদের অনেক লোককে নিহত করা হয় এবং যারা বেঁচে যায় তারা প্রতিবেশী দেশেগুলোতে পালিয়ে যায়।

যদিও এই অঞ্চলের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি আফগানিস্তানে দাঈশের উপস্থিতির মিথ্যা দাবি করে বেড়াচ্ছে, এভাবে মূলত তারা আফগানিস্তানকে আরেকটি যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে এবং এভাবে তাদের ঘৃণ্য লক্ষ্য অর্জনের পথ পরিষ্কার করছে। তবে আফগানিস্তানে আইএসআইএসের উপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক এখন পুরোপুরি শেষ।

Abu Jundab Abdullah
Exit mobile version