আতীকুল্লাহ সাঈদ
আইএসআইএস একটি জঙ্গি গোষ্ঠী। মধ্য এশিয়াসহ বিশ্বের সবচেয়ে তেল সমৃদ্ধ অঞ্চলগুলোতে পরাশক্তিগুলি তাদের লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে দাঈশকে তৈরি এবং সমর্থন করেছিল। দাঈশ তাদের প্রাথমিক কালে নামমাত্র শরীয়াহ বাস্তবায়নের সংগ্রাম শুরু করার অজুহাতে মাঠে নামে। যেহেতু তারা ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্পর্কে অজ্ঞ ছিল, ফলে তাদের পদমর্যাদায় অব্যবস্থা ও বিশৃঙ্খলার কারণে তাদের একটি অজানা পরিণতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল।
তাদের নেতাদের কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। নিজেদের নেতৃত্বের ব্যাপারে তাদের কোনো জ্ঞান নেই। এমনকি তাদের যোদ্ধারাও জানে না কে, কেন এবং কীভাবে তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
তাদের নিম্নশ্রেণি কামুকতায় নিমজ্জিত। তারা এমন অবস্থায় রয়েছে যেখানে তারা সর্বস্ব হারিয়েছে। তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের অন্য সহকর্মীদের দ্বারা যৌন নিপীড়িত হতে দেখেছে। তাদের মধ্যে একজন মহিলা কয়েকজন যোদ্ধাকে বিয়ে করে। বাচ্চারা জানে না তার বাবা কে! ভবিষ্যতে তাদের লড়াইয়ের শক্তি হবে পিতৃ পরিচয়হীন যুবকরা, যাদের দ্বারা গড়ে উঠবে ব্ল্যাকওয়াটারের মতো বর্বর ও রক্তপিপাসু সামরিক ইউনিট।
তাদের ভবিষ্যত যোদ্ধাদের লক্ষ্য হবে— কীভাবে নিজেদের লালসা মেটানো যায়, কীভাবে বস্তুগত সুবিধা পাওয়া যায়, আর এই প্রেরণা তাদেরকে অন্ধ ও অজ্ঞ বাহিনীতে পরিণত করবে।
তাদের না আছে কোনো পরিবার, না আছে জীবন আর না আছে ভবিষ্যৎ! তাই তারা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ষড়যন্ত্রের নিখুঁত ইন্ধন হয়ে উঠতে পারে, যা থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উপকৃত হয়। এমনকি এখন তারা তাদের অজ্ঞতা এবং কামুকতার কারণে এই অঞ্চলে এবং বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে অনেক অজ্ঞ যুবকদের নিয়োগ করছে। এসবের পেছনের প্রেরণা হলো, লালসা ও বস্তুবাদ।