আইএস একটি মহামারির নাম

[পঞ্চম পর্ব]

#image_title

আবু হাজার আল কুরদী

 

আগের পর্বে আমি উল্লেখ করেছি যে, আবু বকর আল বাগদাদির নেতৃত্বের আগে আইএসআইএসে এ ধরনের কোনো বিচ্যুতি ছিল না। দাঈশ মুজাহিদীন এবং অন্যান্য সক্রিয় গ্রুপের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল, এমন নয় যে এটি এবং মুজাহিদীন একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল আগ থেকেই। কিন্তু আবু বকর আল বাগদাদি নেতৃত্বে আসার পর, বিশেষ করে ২০১৪ সালের পর এই গোষ্ঠীর বিচ্যুতি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

কীভাবে সিরিয়ায় আইএসআইএস এবং জিহাদি গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল?

আমরা যদি এই বিষয়টির মূলকে অনুসরণ করি তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পৌঁছানো যাবে। আইএসআইএস এবং জিহাদি গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয় যখন বাগদাদির সহযোগীরা রাতের অন্ধকারে মুজাহিদীনগণের ঘাঁটিতে আক্রমণ করে এবং অন্যায়ভাবে মুজাহিদীগণকে শহীদ করে।

এই হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত ছিল ততক্ষণ— যতক্ষণ না ইবনু মুলজামের অনুসারী দাঈশি খাওয়ারিজরা সিরিয়ার একজন বিখ্যাত মুজাহিদকে শহীদ করে, যিনি আফগানিস্তান সহ অন্যান্য অনেক জায়গায় কয়েক দশক ধরে কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন কিন্তু কাফেরদের সর্দাররা তাকে শহীদ করতে পারেনি।

২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৪-এ, দাঈশি সন্ত্রাসীরা শায়খ খালিদ আস সূরী রহ.–কে শহীদ করে দেয়, যাকে শায়খ আইমান আল জাওয়াহিরি রহ. সমস্যা সমাধানের জন্য মধ্যস্থতাকারী হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন।

শায়খ খালিদ আস সূরী রহ.–এর শাহাদাতের পর জাবাহাতুন নুসরাহর আমীর শায়খ আবু মুহাম্মাদ জুলানি একটি অডিও ক্লিপ সম্প্রচার করে আইএসআইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেন। এবং ইরাকের সীমান্তে অবস্থিত ‘দেইর আয যুর’ প্রদেশে এ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রথম অভিযান চালান।

জাবাহাতুন নুসরাহর সাথে যুদ্ধ শুরু করার পর আইএসআইএস অন্যান্য জিহাদি গোষ্ঠী এবং সিরিয়ার বিপ্লবীদের প্রতিও তার শত্রুতা প্রকাশ করেছিল।  চলবে…!

Abu Jundab Abdullah
Exit mobile version